চীনে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস ভয়ানক রূপ নিয়ে ফেলেছে। ব্যাপক দ্রুতগতিতে ছড়ানোর কারণে পরিস্থিতি সরকারের হাতের বাইরে চলে গেছে। ভাইরাসটি লাগাতার শক্তিশালী হচ্ছে এবং এর কোনো প্রতিষেধক এখনও তৈরি হয়নি। এখন শুধুমাত্র ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যাক্তির শ্বাসবায়ুর মাধ্যমে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। চীনের সরকারও ভাইরাসের সাথে লড়াই করতে যুদ্ধস্তরে কাজ চালাচ্ছে। চীনের সরকার মাত্র ১০ দিনের মাথায় বড়ো বড়ো হাসপাতাল নির্মাণ করার কাজ করছে। চীনের অভ্যন্তরে এমন আরো কিছু ঘটছে যা বিশ্বের সামনের আসছে না। আসলে চীনের মিডিয়া তাদের সরকার দ্বারা খুবই কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রন করে।
এখন চীনে থেকে এও খবর আসছে যে সেখানে মানুষজন ব্যাপকহারে নিরামিষ খাওয়ার উপর মনযোগ দিয়েছে। চীনে মূলত বন্য প্রাণী, সাপ, ব্যাঙ, বাদুড় ইত্যাদি সবকিছুকেই খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করা হয়। এখন কিছু গবেষক দাবি করেছেন করোনা ভাইরাস বন্য প্রাণীদের থেকেই মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে।
চীনে এখন তাই মানুষজন মাংস জাতীয় খাদ্য ত্যাগ করে ব্যাপক হারে নিরামিষ খাদ্য খাওয়া দাওয়া শুরু করেছে। ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন দাবি করেছে, পশু-প্রাণী খাওয়ার জন্য মানুষের দেহে ৭৫% রোগের সৃষ্টি হচ্ছে। প্রোটিন, ভিটামিন শাখ, সবজির মধ্যেও বর্তমান থাকে। কিন্তু মানুষ মাংসের প্রতি এমন নেশা তৈরি করে ফেলেছে যে তা এখন ভয়াবহ দিকে এগিয়ে চলেছে।
কিছু গবেষক আরও বলেছেন যে উহান শহরে খুব বড় স্লটার হাউস এবং মাংসের বাজার রয়েছে এবং করোনা ভাইরাস সম্ভবত সেখান থেকে ছড়িয়েছিল এবং এর পরে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও চীন সরকার এই দাবির বিষয়ে নীরর। অন্যদিকে কিছু কিছু সূত্র দাবি করেছে চীনের সরকার নিরামিষভোজী হওয়ার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছে। যদিও এ বিষয়ে নিশ্চিত খবর এখনও সামনে আসেনি। কারণে চীনে মিডিয়া খুবই কড়াভাবে নিয়ন্ত্রিত।